Header Ads Widget

২য় শ্রেনীর ছাত্রকে বেদম প্রহার করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা।।

ষ্টাফ রির্পোটার ঃ স্কুল মাঠে দরজায় লাগানো নাট-বল্টু কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষকের নির্মম নির্যাতনে গুরুতর আহত দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র মমিনুল ইসলাম এখনো সুস্থ্য হয়ে উঠেনি। আঘাত প্রাপ্ত স্থানের যন্ত্রনায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুধুই ছটফট করছে সে। কাউকে দেখলেই ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদে আতঁকে উঠছে।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, গত ২১ জুলাই/১৭ ইং সকাল সাড়ে  নয়টায় জেলার আদিতমারী থানার সারপুকুর ইউনিয়নের হাজী আছিমুল্লা   সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দরজায় লাগানো একটি লোহার নাট-বল্টু কুড়িয়ে পায় বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র মমিনুল ইসলাম। নাট-বল্টুটি প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা না দেয়ার অযুহাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ উদ্দিন গাছের ডাল দিয়ে মমিনুলকে বেদম প্রহার করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে খবর পেয়ে তার বাবা কাছুয়া মিয়া বিদ্যালয়ে এসে গুরুতর আহত মমিনুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় সাপ্টিবাড়ি বাজারে পল্লি চিকিৎসক সফিয়ারের কাছে নিয়ে যান। মমিনুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পল্লি চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
এ অবস্থায় মমিনুলকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। যার জরুরী বিভাগ রেজি: নং ১৯৩২/৪, ভর্তির রেজি: নং ১৬৪৩/২ বেড নং ২ তারিখ ২৪-৭-২০১৭।
এ ব্যাপারে মমিনুলের বাবা বাদী হয়ে বি¹ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যািিজষ্টেট আমলী আদালত-২ লালমনিরহাটে মামলা করেন। যার  নম্বর সি আর ১৫৩/১৭/এ। বি¹ আদালত মামলাটি তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজ উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি শুধু শাসন করেছি,কিন্তু একটি মহল ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি অনিল চন্দ্রকে জি¹াসা করলে তিনি বলেন,ঘটনাটি শুনে আমি পল্লি চিকিৎসকের দোকানে গিয়ে চিকিৎসাধীন মমিনুলকে দেখি এবং দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেই। তিনি আরও বলেন, এতটুকু বাচ্চাকে এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি।তবে বিষয়টি  সমাধান করার চেষ্টা করে আমি ব্যর্থ হই।
এ বিষয়ে আহত মমিনুলের বাবা কাছুয়া মিয়া কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার মাসুম বাচ্চাকে  প্রধান শিক্ষক নির্মম ভাবে নির্যাতন করেছে।এখনো  সে পুরোপুরি সুুস্থ্য হয়নি। প্রধান শিক্ষক প্রায়ই অন্যান্য বাচ্চাদেরও এভাবে মারধর করে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ