

ঝড়ে লালমনিরহাটের পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবাহ বন্ধ রয়েছে। এমনকি লালমনিরহাট- বুড়িমারী মহাসড়কে গাছ ও বিদ্যুতের পিলার ভেঙ্গে পড়েছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে প্রচন্ড বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে বিভিন্ন স্থানে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও থেমে থেমে চলা শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। অাধাপাকা ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে।
প্রচণ্ড বেগে আঘাতহানা ঝড়ে জেলার আদিতমারী, কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তিস্তার চরাঞ্চল গুলোতে।
চরাঞ্চল এলাকার কয়েজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন,চরাঞ্চলের এমন কোনো বাড়ি নেই ক্ষতি হয়নি। লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের গ্রামগুলো। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে প্রাথমিক জানা যায়নি। ঝড়ের কারণে গাছ ভেঙে পড়ে লালমিনহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে ঝড় থেমে যাওয়ার পর-পরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাস্তা সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৫২ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে। যা সবেমাত্র পাকা রং ধরেছে। কোনো এলাকায় ধান কাটাও শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় এ ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে ওইসব ক্ষেতের ধান শুয়ে পড়েছে মাটিতে। লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিদ্যুৎ ভূষণ রায় বলেন, এ শিলাবৃষ্টি ধান ও ভুট্টাসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ক্ষতির পরিমাণ জানতে সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ