Header Ads Widget

লালমনিরহাটে শুরু হয়েছে আগাম ধান কাটা মারার মৌসুম, ব্রি ধান উৎপাদনে হাসী কৃষকের মুখে

মেহেদী হাসান জুয়েল : আশ্বিন কার্তিক মাস। নাম  শুনলেই আতঁকে উঠতো উত্তরের জেলার মানুষেরা। মঙ্গার ভয়াবহতায় কর্মহীন মানুষ পাড়ি জমাতেন ঢাকা কুমিল্লাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। একদিকে কাজ নেই অন্যদিকে ছিল খাদ্য সংকট। সরকারী ত্রানই যেন একমাত্র অবলম্বন। তবে না খাওয়ার সেই বেদনা এখন শুধুই ইতিহাস। ধান গবেষনা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান- ৭২ বদলে দিয়েছে এখানকার মানুষের জীবন চিত্র। প্রথমবারের মত ব্রি ৭২ আমনের এক মাস আগেই উৎপাদিত হওয়ায় লালমনিরহাটসহ উত্তরের জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে ধান কাটা-মারার ভরা মৌসুম।
মঙ্গার ভয়াবহতা দুরীকরণে লালমনিরহাটে স্থানীয় এনজিও নজীর (নতুন জীবন রচি) এবং হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহযোগীতা ও তত্ত¦াবধানে এবার উৎপাদন করা হয়েছে নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৭২। ধান গবেষনা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত স্বল্প মেয়াদী এই ধান জেলায় প্রথমবার ব্যাপকভাবে উৎপাদন করায় শুরু হয়েছে আগাম কাটামারা। অল্প খরচে উৎপাদিত নতুন এ ধানের ফলন আশানুরূপ হওয়ায় হাসি ফুটে ওঠেছে কৃষকের মুখে।

ধান কাটা-মারা উপলক্ষে কৃষকদের উৎসাহ ও ধানের গুণাগুণ তুলে ধরার জন্য সোমবার মাঠ দিবসের আয়োজন করে নজীর। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বার,চিকিৎসক,কৃষক এবং এনজিও কর্মকর্তা এতে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, মাত্র ৩মাসের মধ্যে ভিটামিন ও জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান উৎপাদিত হওয়ায় বছরে তিন মৌসুমেই ফসল চাষ করা যায়। এতে পুরো বছর জুড়ে কৃষকের জমি থাকে ফসলে ভরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, স্থানীয় এনজিও নজীর এবং হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সম্প্রসারণে উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ এই ধান উৎপাদনে এ অঞ্চলে কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।
উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা দুর করণের পাশাপাশি কৃষি ও কৃষকের জীবন মান পরিবর্তন করতে ব্রি ধান-৭২ উৎপাদনে  সরকারী সুযোগ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করা হবে-এমনটি প্রত্যাশা লালমনিরহাটের কৃষকদের।
এ ব্যাপারে নজীর (নতুন জীবন রচি) এর নির্বাহী পরিচালক নুরুল হক সরকার জানান,দাতা সংস্থা হারভেস্ট প্লাস এর সহযোগীতায় নজীর লালমনিরহাট জেলায় ২৩৫০ জন কৃষকের মাঝে চলতি আমন মৌসুমে ব্রি ধান-৭২ ও ৬২ বিতরন করে বিনামূল্যে এবং তাদের প্রশিক্ষন প্রদান করে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ