
শাহারুখের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফাস লাগানো ছবি গুলোও অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। বাবা জাহিদুল দাবী করে বলছে , তার মাদকাসক্ত ছেলে শাহারুখ আত্মহত্যা করেছে । কিন্তু এলাকাবাসী ও সহপাঠীরা বলছে ভিন্ন কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী ও সহপাঠীরা বলছে , বদমেজাজি বাবার অতি শাসনে সামিউল আলম শাহারুখের আত্মহত্যা বা অন্য কোন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, যা ময়না তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে ।
এলাকাবাসি ও শাহারুখের বন্ধুরা জানায়, সামিউলের বাবা জাহেদুল আলম এলাকায় একজন মদমেজাজি লোক হিসেবে পরিচিত। তিনি সামান্য কারণে সামিউলকে প্রায় সময় মারধর করতেন। ঘটনার তিনদিন আগে থেকেই শাহারুখকে ঘরে আটকে রাখে জাহেদুল । এই অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন বন্ধুর মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠায় সামিউল। ক্ষুদে বার্তায় শাহারুখ বন্ধুদের জানায়, বাবা তাকে আটকে রেখেছে। তার আর ভাল লাগছে না বলে জানায় বন্ধুদের। ওই ক্ষুদে বার্তাই যে সামিউলের জীবনের শেষ বার্তা হবে তা হয়তো জানা ছিলনা বন্ধুদের। কারণ সামিউল তার বাবার অতিশাসন সইতে না পেরে ওইদিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নিজ ঘরে বিছানার চাদর গলায় পেঁচিয়ে আত্বহত্যা করে। পরে রাত ১১ টার দিকে পুলিশ গিয়ে ওই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তবে ছেলেকে অতিশাসন কিংবা মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন সামিউলের বাবা জাহেদুল আলম। তার ভাষ্য মতে, বৃহস্পতিবার শবে বরাতের রাতে ছেলেকে নিয়ে নামাজে যাবেন বলে তাকে ডাকতে যান তিনি। কিন্তু ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় তার। পরে পুলিশ এসে সামিউলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বলে জানান বাবা জাহেদুল আলম।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত সামিউলের কয়েকজন বন্ধু জানায়, লাশ উদ্ধারের পরেও তা ময়নাতদন্ত না করার চেষ্ঠা করেছেন তার বাবা। পরে বন্ধুদের দাবির প্রেক্ষিতেই পুলিশ সামিউলের মরদেহ মর্গে পাঠায় বলে জানায় তারা।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা জানান, সামিউল আসলে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা হয়তো ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ