বিলুপ্ত ছিটমহলের নাগরিকেরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেলেও জমি সংক্রান্ত জটিলতা কাটেনি।জমি কেনা বেচা ও ভাগ বন্টন রয়েছে বন্ধ।ফলে নানামূখি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত----

৩১ জুলাই মধ্য রাতে আর ১ আগষ্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মোমবাতি প্রজ্জলন আর জাতীয় সংগীত গেয়ে বিনিময় হয় ভারত বাংলাদেশের মধ্যে থাকা ১৬২ ছিটমহল।এসব ভূÑখন্ডে বসবাসবরত অধিবাসীরা হয়ে যায় স্বাধীন দেশের নাগরিক। ৬৮ বছরের বন্দী জীবনের অবসান হয়।সেই সাথে ইতিহাসের অংশ হয়ে যায় ছিটমহল কথাটি।
ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহলে শুরু হয় সরকারী ও বেসরকারী ভাবে নানা উন্নয়ণ মূলক কাজ।পিছিয়ে থাকা এসব মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক অর্থ বরাদ্দ করে সরকার।বিলুপ্ত ছিটমহলে বিদ্যুৎ সংযোগ,কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন,রাস্তাঘাট,সেতু কালভার্ট নির্মান,বিদ্যালয় স্থাপন,স্যানিটেশন,প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা,জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান সহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়।
এদিকে বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজ চলমান থাকলেও কৃষি নির্ভর এসব মানুষের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমির মালিকানা নির্ধারণ।জেলার ৫৯টি বিলুপ্তছিটমহলে ৩২৩৮.৭২ একর জমি রয়েছে।আর এসব জমির মালিকানা সংক্রান্ত খতিয়ান,মাঠ রেকর্ডের পশ্চা,খারিজের কাগজ না পেয়ে ওয়ারিশগণের মাঝে জমির ভাগ বন্টন বা জরুরী কোনো প্রয়োজনে ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারছেননা তারা।ফলে প্রতিনিয়ত নানামুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
0 মন্তব্যসমূহ