Header Ads Widget

নিখোঁজের দুই সপ্তাহ পর কলেজ ছাত্র শুভর লাশ উদ্ধার


ষ্টাফ রির্পোটার : নিখোঁজের দুই সপ্তাহ পর তিস্তা নদী থেকে তৌহিদুল ইসলাম শুভ (১৬)নামে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের মারাইরহাট জগতদার ৫নং স্পার বাঁধের পাশে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মশিউর রহমান জানান, সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের মারাইরহাট জগতদার এলাকার লোকজন স্পার বাঁধের পাশে পানিতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তৌহিদুল ইসলাম শুভর পরিবারের লোকজন দেখে শুভর লাশ বলে শনাক্ত করে। ১৪দিন পর লাশটি উদ্ধার হওয়ায় লাশের শরীরে পঁচন ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এর আগে গত ২১ জুলাই শুভসহ তার ছয় বন্ধু মিলে একটি অটোতে চড়ে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ টেপারহাট বাজারের দক্ষিন দিকে তিস্তা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে তৌহিদুল ইসলাম শুভ তিস্তা নদীতে ডুবে যায়। পরে লালমনিরহাট ফায়ার ব্রিগেড ও রংপুর ফায়ার জোনে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস টিম যৌথভাবে দুইদিন অনেক খোজাখুজির পরও শুভকে পাওয়া যায়নি।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলা রাজপুর ইউনিয়নের মারাইরহাট জগতদার এলাকার তিস্তা নদীর ৫নং স্পার বাধের পাশে পানিতে ভাসমান অবস্থায় শুভর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ১৪দিনে লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পঁচন ধরেছে।
এ ব্যাপারে তৌহিদুল ইসলাম শুভর বাবা মোঃ শওকত আলী গত ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলো- হোসেন আলী (১৭), আল আমীণ (১৮), মোকন্ত নাথ রায়, সনজিৎ চন্দ্র দেবনাথ(২০) ও অটো চালক পঁচা (২৫)। অটো চালক পঁচা বাদে অভিযুক্তরা সবাই মৃত তৌহিদুল ইসলাম শুভর বন্ধু।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ  রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যেহেতু এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে, সেহেতু লাশের ময়না তদন্ত করে করে তবেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মৃত তৌহিদুল ইসলাম শুভর বাবা শওকত আলী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, তার সন্তান শুভকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ