ভুলে অটোরিক্সায় ফেলে যাওয়া সাড়ে ১৪ লাখ টাকা তিন দিন পর ফিরে পেয়েছেন এক নারী। টাকার মালিক ও সিএনজিচালক উভয় পক্ষের তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে।
টাকার মালিক রহিমা বেগমের এক স্বজন মো. হামদু জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমসহ চারজন পৌর এলাকার কাউতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটোরিক্সায় করে বাড়িতে ফেরেন।
সিএনজি থেকে নামার সময় তিনি ব্যাগ নিতে ভুলে যান। ওই ব্যাগে ছিল সাড়ে ১৪ লাখ টাকা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেক বই। পরে সিএনচালককে খোঁজ করে না পেয়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে সিএনজিচালককে শনাক্ত করে।
অটোরিক্সাচালক মো. মনির হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার যাত্রী নামিয়ে তিনি বাড়ি চলে যান। পরদিন শুক্রবার তিনি এক বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। এরপর শনিবার সকালে প্রথম তিনি সিএনজির সিটের পেছনে টাকাভর্তি ব্যাগটি পান। বিষয়টি তিনি ফুফা আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে জানান।
সানু মিয়া ব্যাগের কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, টাকার মালিক রহিমা। পরে সানু মিয়া বিষয়টি আখাউড়া উপজেলা পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে জানান। গতকাল সকালে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রহিমার হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়।
মো. হামদু জানান, মনিরের টাকা পাওয়ার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর কাছের লোকজন তাঁকে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। এর মধ্যে রহিমার ব্যাগের কাগজপত্রে থাকা ফোন নম্বর পেয়ে কল করে বিষয়টি জানানো হয়।
আখাউড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘রহিমা বেগম ভুলে টাকা অটোরিক্সায় ফেলে যান। সিএনজিচালকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে প্রকৃত মালিকের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়।’
.png)

0 মন্তব্যসমূহ