চট্টগ্রামের রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী
হারুন প্রকাশ কালা হারুন হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে
জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাযী
আব্দুল্লাহ আল হাসান।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম
প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা
বিএনপির সদস্য সচিব কাযী আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, সন্ত্রাসের জনপদ খ্যাত
রাউজানের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কালা হারুন গত ১৪ অক্টোবর রাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে
খুন হয়। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। কী কারণে কালা হারুন হত্যা তার বিশদ
বিবরণ পরদিন আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়। অথচ এ হত্যা মামলায়
শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রবাসে অবস্থানরত গত ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষের
প্রার্থী জসিম উদ্দিন, তার প্রবাসী ভাই
আজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাচট্টগ্রাম উত্তর জেলা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল- এর সাবেক সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক ও জাতীয়তাবাদী
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ-এর সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু ও রাউজান থানা ছাত্রদল নেতা
মোঃ জামাল উদ্দিনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। যা বিবেকবান মানুষদের হতবাক করেছে।
আমরা এ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অত্যন্ত হাস্যকর ও
পরিতাপের বিষয় জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আজিম উদ্দিন বর্তমানে দুবাই এ অবস্থান করছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরু কালা হারুন খুন হওয়ার ঘটনার দিন পর্যন্ত ঢাকায়
অবস্থান করছিলেন। ঘটনাস্থল কিংবা দেশে উপস্থিত না থেকেও বিরোধী রাজনৈতিক
নেতৃবৃন্দকে হত্যামামলার আসামী করায় আমাদের বিবেককে পীড়া দিচ্ছে। একটি অপরাধকে দমন
করতে গিয়ে শত অপরাধের জন্ম দিচ্ছে। যা দেশের প্রচলিত আইন ও মানবাধিকার বিরোধী।
আমরা মনে করি, কালা হারুনের প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতেই বিএনপি ও ছাত্রদল
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের
উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার প্রবাসী
বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুর আলম নুরুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের
নেতৃবৃন্দকে মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।
কাযী আবদুল্লা আল হাসান এক প্রশ্নের জবাবে
বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাউজানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আস্ফালন
এতই বেড়েছে যে, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে চলা ফেরা করতে পারে না।
এমনকি বাসাবাড়িতে অবস্থান করাও দুরুহ। যেখানে নেতাকর্মীদের বিবাহ, মেজবান, জানাযার
নামাযের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব হয়না, সেখানে নোয়াপাড়ার ত্রাশ কালা
হারুনের মতো অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত শীর্ষ সন্ত্রাসীকে হত্যা করতে যাওয়া শুধু
হাস্যকরই নয মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের
জন্য আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা
বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক
মুহাম্মদ শওকত আলী নুর, ফটিকছড়ি বিএনপির আহবায়ক সরওয়ার আলমগীর, হাটহাজারী উপজেলা
চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, মিরসরাই বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মাওলা,
সন্দ্বীপ পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আসমত আলী বাহাদুর, রাউজান উপজেলা বিএনপির
যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ মেম্বার, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শহীদুজ্জামান,
বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী তপন, এ.কে.এম. আজিজ আহমদ, এম.এ হাশেম, এস.এম.
ইউসুফ, মহিউদ্দিন, ফজলুল কাদের চৌধুরী, সাবের সুলতান কাজল, মো. দিদার তালুকদার,
শাহজাহান শাকিল, ছাত্রদল নেতা মোর্শেদ হাজারী, রাহি, বিপুল খান, শওকত আলী, জাবের
উদ্দিন টিপু, জোবাইদুল মুন্নাপ্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
0 মন্তব্যসমূহ