Header Ads Widget

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার অভিযোগ!

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে মামুনুর রশীদ চৌধুরী (৪৮) নামের এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ওই যাত্রী চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়ার জন্য স্থলবন্দরে পৌঁছানোর পর এ ঘটনা ঘটে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কাফরুলের ৭৩০/২ ইব্রাহিমপুর এলাকার নাসির উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মামুনুর রশীদ চৌধুরী ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন যান। বুড়িমারীতে বাংলাদেশি টাকাগুলো ভারতীয় রুপিতে ভাঙিয়ে নেন তিনি।
মামুনুর রশীদ চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, ইমিগ্রেশনের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতে যাওয়ার সময় শুল্ক গোয়েন্দা এবাদত আলী তাকে ডেকে নিয়ে যান কাস্টমস অফিসে। সেখানে রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের কক্ষে দিনভর তাকে আটকে রাখা হয়। এসময় তার কাছে থাকা ভারতীয় ২ লাখ ৭০ হাজার রুপি ও একটি স্মার্টফোন কেড়ে নেন রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ও শুল্ক গোয়েন্দা এবাদত আলী। পরে তার কাছ থেকে মুচলেকা লিখে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের চ্যাংরাবান্ধা পার করে দিয়ে আসেন তারা।


মামুন শুক্রবার বিকালে মুঠোফোনে বলেন, ‘বুড়িমারী কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা এবাদত আলী ও রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান আমাকে আটকে রেখে ২ লাখ ৭০ হাজার ভারতীয় রুপি ও একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ১৪ বছর জেল-জরিমানা দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছে মুচলেকা লিখে নিয়ে বাংলাদেশি ৫০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে পার করে দেন। আমার ডায়াবেটিকস ও থাইরয়েড চিকিৎসা নিতে বেঙ্গালুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন টাকার অভাবে চ্যাংরাবান্ধায় পড়ে আছি।’
বুড়িমারী কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা এবাদত আলী ভারতীয় রুপি ও স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে সন্দেহ হওয়ায় কাস্টমসে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবর রহমান চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত এগিয়ে দেন।’
এ ব্যাপারে বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমস সহকারী কমিশনার রিজভী আহমেদ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর দুইটিতে একাধিকবার যোগাযোগ করে বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু কোনও অভিযোগ না পাওয়ায় কিছুই করা সম্ভব হয়নি।’ সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ