
পাটগ্রাম শহরের ব্যবসায়ীরা বিদ্যুতের দাবীতে একাত্বতা ঘোষনা করে তারা তাদের নিজ নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমে পড়ে। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করতে থাকে।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা পাটগ্রাম বিদুৎ উপ-কেন্দ্রে ঘেরাও করতে গেলে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী অবস্থা বেগতিক দেখে সটকে পরে।
পাটগ্রাম উপজেলাবাসী বলছেন, জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে জেলা সদর, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলায় অনেকটাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা থাকলেও ব্যতিক্রম শুধু হাতীবান্ধা এবং পাটগ্রাম উপজেলার ক্ষেত্রে। ফলে ওই উপজেলা দুইটিতে বিদ্যুতের দুরাবস্থার কারণে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে সবমিলিয়ে ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ পেয়েছে পাটগ্রামের ভুক্তভোগী মানুষজন। শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও তা এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। তাই রোববার দুপুরের পর পরই পাটগ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ রাগে-ক্ষোভে বিক্ষোভ শুরু করে।
স্থানীয় বিদুৎ অফিস সুত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম উপজেলায় পিডিবির আওতায় সবমিলে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এসব গ্রাহক বর্তমানে যে বৈদ্য্যুতিক ভোগান্তিতে পড়েছেন তা প্রায় অমানবিক বলে জানায় ভুক্তভোগি মানুষজন।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী (বিতরণ) আব্দুল মতিন বলেন, লালমনিরহাট-পাটগ্রাম বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের মূল সমস্যা হচ্ছে দূরত্ব। এ কারণে বিদ্যুৎ বারবার বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। এ ছাড়া ডুয়েলকোর লাইনের খুঁটি মহাসড়কে স্থাপন করায় যানবাহনের ধাক্কায় এটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর কুতুবুল আলম বলেন, বর্তমানে পাটগ্রামে বিদ্যুতের যে হালচাল, তাতে এই উপজেলায় সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই অত্র এলাকায় বিদ্যুতের ভোগান্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ