Header Ads Widget

মুসলমানদের সহযোগীতায় ভুমিদস্যুর হাত থেকে শ্মশানের জমি উদ্ধার


দীর্ঘ ১৫ বছর পর হিন্দুদের বেদখলি নির্ধারিত শ্মশানটি ভুমিদস্যুর হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় মুসলমানদের সার্বিক সহযোগিতা ৮ শতাংশ জমির ঐ স্থানটি নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ।
সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট সদরের মোস্তফি গ্রামে কথিত ভুমিদস্যুর হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শ্মশানের জায়গাটি।
আট শতাংশ জমির এই শ্মশানটি ভুমিদস্যুর বেদখলে থাকায় স্থানীয় শতাধিক হিন্দু পরিবারের লোকজন এতদিন শবদাহ নিয়ে চরম বিপাকে ছিলেন। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানটি রক্ষা ও ব্যবহারে স্থানীয জনপ্রতিধি সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন ঐ এলাকার ইউপি সদস্য মজিবর রহমান।
ঐ ইউপি সদস্য বলেন, স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ভুমিদস্যুর হাতে দীর্ঘদিন যাবত শ্মশানের জায়গাটি অবৈধ দখলে ছিলো। ফলে স্থানীয় হিন্দু অধিবাসীরা তাদের মৃতদেহ সৎকার করতে নানা সমস্যায় পড়তেন। অভিযুক্ত ভুমিদস্যুকে শ্মশানের জায়গাটি মুক্ত করে দেয়ার জন্য একাধিকবার তাগিদ দেয়া হয়। এরপরেও তিনি নানা টালবাহানা করে কালক্ষেপন করেন।
ঐ গ্রামের হিন্দু অধিবাসী পুলিন চন্দ্র রায় (৬৫) জানান, ৫০ বছর আগে ৮ শতাংশ জায়গাটি শ্মশানের নামে দান করেছিলেন স্থানীয এক ভুমিদাতা। তারপর থেকে এটি হিন্দুদের মৃতদেহ সৎকারে শ্মশান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিলো কিন্তু ১৫ বছর আগে এটি চলে যায় এক প্রভাবশালীর অবৈধ দখলে।
তিনি আরও বলেন, শ্মশানের জায়গাটি উদ্ধার করতে পেরে আমরা খুব খুশি। এখন থেকে আর আমাদেরকে মৃতদেহ সৎকার করতে যত্রতত্র যেতে হবে না।
একই গ্রামের উত্তম রায় (৪২) জানান, স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সার্বিক সহযোগিতা না পেলে শ্মশানের জায়গাটি উদ্ধার করা সম্ভব ছিলো না। শ্মশানের জায়গাটিতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছি এবং খুব শীঘ্রই আমরা মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুনরায় কার্য্যক্রম শুরু করবো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ