এবারে সিলেটের বিয়ানিবাজারের রুমানা বেগম (১৬) নামের এক অপহৃত কিশোরীকে লালমনিরহাটে উদ্ধার করেছে রংপুরের ৭বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদস্যরা। পরে ঐ কিশোরীকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয় বিজিবি সদস্যরা।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত ঐ কিশোরী রুমানা বেগম বিয়ানিবাজার থানার খাটবারা ইউনিয়নের ঘাতগঞ্জ গ্রামের আসাদ আলীর মেয়ে। ১১ এপ্রিল মেয়েটিকে কিছু দুর্বৃত্ত অপহরণ করে লালমনিরহাট জেলায় নিয়ে আসে।
বিজিবির সদস্যরা অপহরণের সংবাদটি গোপন সূত্রে জানতে পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারের তৎপরতা চালায়।
এক পর্যায়ে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকা থেকে ৭বিজিবির অধীনস্থ পাটগ্রাম উপজেলার নবীনগর কোম্পানি মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর মেয়েটির বাবা-মাকে সংবাদটি জানানো হলে তারা ৭বিজিবির অধীনস্থ নবীনগর ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার জালাল খানের শরণাপন্ন হন। পরে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ডায়েরি নম্বর ৯১৬।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেন হোসেন অপহৃত রুমানা বেগমের উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা ডিমলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করছেন। বিয়ানিবাজার থানায় তারা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
অপহৃত রুমানার বাবা আসাদ আলী জানান, দুর্র্বৃত্তরা আমার মেয়েটিকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেছে। আমি আমার স্থানীয় থানায় অপহরণ মামলা করব।
৭বিজিবির অধীনস্থ পাটগ্রাম উপজেলাধীন নবীনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোঃ জালাল খান জানান, দুর্বৃত্তরা এক কিশোরীকে অপহরণ করে লালমনিরহাট জেলায় নিয়ে এসেছে, এমন একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির চৌকস সদস্যরা অপহৃত ঐ কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু করে।
অবশেষে সাত দিনের মাথায় (১৭এপ্রিল) সোমবার মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকা থেকে। ১৮এপ্রিল, মঙ্গলবার সকালে ঐ কিশোরীকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়া হয়। আমরা অপরহণকারী চক্রটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
0 মন্তব্যসমূহ