লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চর কান্ধনসর এলাকায় এক প্রতিবন্ধি পরিবারের ফসলি জমি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ পরিবারের বিরুদ্ধে

 

রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের চর কান্ধনসর এলাকায় প্রতিবন্ধির মা মঞ্জিলা বেগমের আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার ফসলি আবাদ নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোঃ রেজাউল করিম (৫৪) তার বাবার মৃত্যুর পর পৈত্রিক সূত্রে ১ একর ০৮ শতক জমি তিনি এবং তার ওয়ারিশবর্গ নিজ দখলে ভোগ দখল করে আছে।

উক্ত জমি ভোগ দখল করা অবস্থায় বিবাদী ১। মোহাম্মদ আলী (৩৮), ২। মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫৫), ৩। মোঃ সোহরাব আলী (৬৫), ৪। মোঃ ফরহাদ আলী (৬২), ৫। মোঃ শাহাদত হোসেন (৪৫), সকলের পিতা- মোঃ সোনাউল্লাহ, ৬। মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩২), ৭। মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৮), উভয় পিতা- মোঃ সোহরাব আলী, ৮। মোঃ জিয়াউর রহমান (৩০), পিতা-মোঃ ফরহাদ হোসেন, সর্ব সাং- কাঞ্চনশ্বর, ৯। মোঃ আমজাদ হোসেন (৫০), ১০। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫৫), উভয় পিতা- মৃত আনু ভূঁইয়া, ১১। মোঃ আব্দুল মান্নান (৩২), পিতা- মোঃ আজাদ আলী সহ আনুমানিক আরও অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন। লাঠি-সোটা, ছুরি বল্লম ও দেশীও অস্ত্রর মোহরা দিয়ে ফসলি জমির তামাক ও আলু নষ্ট করে ফেলেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রেজাউল বলেন, আমার ওয়ারিশবর্গের দখলীয় ০১ একর ০৮ শতক জমির মধ্যে ৩০ শতক জমি প্রতিবেশী মঞ্জিলা বেগমকে বর্গা দেওয়া জমিতে রোপনকৃত ভার্জিনা তামাকের গাছগুলি কেটে ফেলে যার আনুমানিক মুল্য ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা এবং এবং জয়নাল আবেদীনের কাছে বর্গা দেওয়া ১০ শতক জমিতে আলুর ক্ষেত নষ্ট করে যার অনুমানিক মুল্য ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, মোট ১,৩০,০০০/- (এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকার ক্ষতিসাধন করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

ভুক্তভোগী মঞ্জিলা বেগম বলেন, আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতা ও কিস্তির টাকা দিয়ে দিয়ে খুব কষ্ট করে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়ে ভার্জিনা তামাক চাষ করেছি। আমার সাথে তো মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের শত্রুতা নেই তাহলে আমার এতো কষ্ট করা আবাদ কেন কেটে ফেললো। এখন আমি কি করে প্রতিবন্ধী এই বাচ্চা নিয়ে কি করে সংসার চালাবো।

ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি খুব কষ্ট করে আলু আবাদ করেছি মোহাম্মদ ও তার পরিবার বিভিন্ন অস্ত্র সাথে নিয়ে বহিরাগত ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের সাথে নিয়ে আমার আলু খেত নষ্ট করেছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সেলিম মানিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।  তাদের দুই পরিবারের মিমাংসা কথা বলেছে, মিমাংসা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।