Header Ads Widget

লালমনিরহাটে নিরাময় ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু। ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা কর্তৃপক্ষের!!মালিক লাপাত্তা।।


ষ্টাফ রিপোর্টারঃ শহরের খোর্দ্দসাপটানায় অবস্থিত নিরাময় ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেণ্টারে ফজিলা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহিনীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবী ভুল চিকিৎসা এবং কর্তব্য অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে।
জানা গেছে,গত ১৮ অক্টোবর আদিতমারী উপজেলার কুমড়ির হাটে স্বামীর বাড়িতে প্রসব বেদনা উঠলে ফজিলার স্বামী নুরুজ্জামান তাকে শহরের নিরাময় ক্লিনিকে ভর্তি করান। রাত ৮ টায় অপারেশন করে বাচ্চা ডেলিভারী করে ডাঃ সিরাজুল ইসলাম। অপারেশনের পর ফজিলা স্বাভাবিক ভাবেই কথা-বার্তা বলে সংগে থাকা ফুপু এবং অন্যান্যর সংগে। সদ্য ভুমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে নিজের বুকের দুধও খাওয়ান। এরপর সকালের দিকে হঠাৎ ছটফট করতে করতে মারা যায় ফজিলা। কথাগুলো কেদে কেদে বলছিলেন দেখাশুনার দ্বায়িত্বে থাকা ফজিলার ফুপু মিনা খাতুন।
তিনি আরো জানান, ফজিলার অবস্থা খারাপ হওয়ার পর আমি ক্লিনিকের লোকদের জানাই,কিন্তু তারা আমার কথার গুরুত্ব দেয় না,বলে ওগুলো কিছু না।ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু অবস্থা আরো খারাপ হলে আমি আবারও ওদের বলি। তখন ওরা একজন আয়াকে পাঠায়। আয়া এসে হাত মুখ মুছে দেয়। এর কিছুক্ষন পরেই ফজিলা নিস্তেজ হয়ে যায়।
জানা যায়,ফজিলা মারা যাবার পর তড়িঘড়ি করে মৃতদেহ মাইক্রোবাসে তোলা হয়। সংগে থাকা একমাত্র ফুপু বাধা দিলে বলা হয়, রংপুর মেডিকেলে রোগীকে নিতে হবে।ছয় ব্যাগ রক্তের ব্যাবস্থা করুন। একথা বলেই মৃতদেহ,ভুমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চা সহ ফুপুকে জোর করে গাড়িতে তুলে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ক্লিনিক মালিকের ভায়রা মাসুদ।
রংপুর মেডিকেলে গিয়ে কি হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে ফুপু মিনা জানায়, মেডিকেলের বারান্দায় নিতেই ওখানকার লোক এসে বলে রোগী অনেক আগেই মারা গেছে।

এদিকে ফজিলার বাবা মোর্শেদ মিয়া জানান, ক্লিনিকের লোকজন মেয়ের লাশ আমার বাড়িতে রেখেই তড়িঘড়ি করে চলে আছে। আমি তখন বাড়িতে ছিলাম না।এরপর আমি ক্লিনিকে এসে কি কারনে আমার মেয়ে মারা গেল জানতে চাইলে, ওরা এলোমেলো কথা বলে। আমি চিকিৎসার কাগজপত্র চাইতেই ক্লিনিকের ম্যানেজার মাসুদ আমার গায়ে হাত তোলে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা সেখানে খবর সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে ছবি উঠাতে বাধা দেয়া হয়। ক্লিনিকের মালিক সামসুল আলমের সাথে অনেকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য নিরাময় ক্লিনিকে এর আগেও ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগী মারা গেছে বলে জানা গেছে। দুইমাস আগেও আরেকটি অপারেশন করতে গিয়ে রোগীকে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটে।
** প্রিয় পাঠক, নিরাময় ক্লিনিকের মালিক সামসুল আলমের অনেক অজানা তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আমাদের পরবর্তি লেখায় আসছে, "বেকার থেকে শতকোটি টাকার মালিক সামসুল আলম। তিনি কি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন?" শিরোনামে। চোখ রাখুন লালমনিরহাট নিউজে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ