Header Ads Widget

লালমনিরহাটের বিএনপি।। দুলুর ওপরই তৃণমূলের আস্থা।।




মেহেদী হাসান জুয়েল : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনের বিএনপির তৃণমূলের আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতিও।জেলা থেকে শুরু করে ৫ টি উপজেলার, উপজেলা বিএনপি ও তাদের অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুলুর নেতৃত্বেই আস্থাশীল। আর এ কারনেই জেলার তিনটি সংসদীয় আসনেই দুলুর প্রার্থীতা আশা করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। যদিও ৩ টি আসনে ভোট করতে পারবেন না তিনি। এরপরও লালমনিরহাট -২ আসনের (আদিতমারী -কালিগঞ্জ) বিএনপি ও তার অংগসংগঠনের নেতারা রেজুলেশন করে কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে লিখিতভাবে দাবি করেছেন এ আসনে যেন দুলুকেই মনোনয়ন দেয়া হয়। আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সালেকুজ্জামান প্রামানিক বলেন, দুলু ভাইয়ের বিকল্প শুধু তিনিই। তার ব্যক্তি ইমেজ কাজে লাগিয়ে এ আসনটি আমরা পুনরুদ্ধার করতে চাই। একই রকম বক্তব্য পাটগ্রাম ও কালিগঞ্জ উপজেলার নেতাকর্মীদের।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা বলেন, শুধু তৃণমূলের নেতাকর্মী নয়, সাধারন ভোটারদের বিপদ আপদে পাশে থাকার কারনেই আসাদুল হাবিব দুলু মহোদয় আজ সর্ব শ্রেনীর মানুষের আস্থার প্রতিক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাই তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারন জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে দুলু ভাইয়ের জন্য ২ টি আসন থেকে মনোনয়ন তুলেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।আসন্ন নির্বাচনে কোন প্রকার ভোট কারচুপি না হলে দুলু ভাইয়ের বিজয় কেউই আটকাতে পারবে না বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সারাদেশে মোট ৩৮ টি কেন্দ্র ভোট শুণ্য ছিলো, এরমধ্যে শুধু লালমনিরহাট সদরের ৩৭ টি কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়তে দেয়নি এখানকার বিএনপির নেতাকর্মীরা। যা তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও বড় শক্তির পরিচয় দিয়েছে। বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিএনপির সংসদ সদস্য আসাদুল হাবিব দুলু উপমন্ত্রী হিসেবে গোটা জেলাকে সাংগঠনিকভাবে সুসংগঠিত করেন। সেই সঙ্গে জেলার সার্বিক উন্নয়নে তিস্তা নদীতে সলেডি স্প্যার বাধ, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,লালমনিরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনের আধুনিক ভবন, লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু সহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হন। মামলায় জর্জরিত হলেও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় জনগণের এ আস্থা ধরে রেখেছেন তিনি। তাই এ জেলায় বিএনপির দুলুকে একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন ভোটাররা।
দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে এবং নেতাকর্মীরা মামলায় জর্জরিত হলেও জেলায় বিএনপির ভোট ব্যাংক ভাংতে পারেনি কোন রাজনৈতিক দল। ব্যক্তিগত ইমেজ দিয়েই ভোটের তহবিল ধরে রেখেছে বিএনপি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, সারাদেশের মতো লালমনিরহাটের মানুষ আওয়ামীলীগের দুঃশাসনে অতিষ্ট। আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে ধানের শীষের ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে ভোটাররা এর প্রতিফলন ঘটাবে।
(পুরো বক্তব্য ভিডিও দেখুন)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ