Header Ads Widget

দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে দিতে বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায়।




মেহেদী হাসান জুয়েলঃ বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে দিতে বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায়। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে। তাই আমাদের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে। আমরা চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। দেশের  মানুষের চোখে-মুখে আজ বিদ্রোহের ভাষা দেখতে পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, দেশের প্রধান বিচারপতি যখন বলেন দেশে আইনের শাসন নেই, তখন বলার অপেক্ষা থাকে না দেশের অবস্থা কোথায়? আ’লীগ সরকার আজ গোটা দেশকে কারাগারে পরিনত করেছে।
তিস্তা নদীর পানির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত গিয়ে পানি আনতে পারে নাই। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই তিস্তার পানি চুক্তি হয়নি। আজ অভিন্ন ৫৪ টি নদীতে পানি নেই। বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা গুলো তিনি বলেন।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ হলরুমে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাব্বি দুলুর সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, সম্পাদিকা সুলতানা আহেম্মদ, তাতীদলের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওঃ আব্দুল মালেক, ওলামা দলের সম্পাদক মাওঃ নেছারুল হক, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন-সম্পাদক হেলেন জেywiন খান, জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।
বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কুটিরশিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোজাফর হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা প্রমুখ।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে খারাপ সময় চলছে। কারণ এ আ’লীগ সরকার গণতন্ত্রের একটা মুখোশ পড়ে আছে।বাংলাদেশের ইতিহাসে যত দূর্নীতি হয়েছে তার সিংহভাগ এই সরকারের আমলেই। দেশে বর্তমানে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে। শুধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বললে ভুল হবে এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা। এখানে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই, জবাবদিহিতাও নেই। নামে মাত্র একটা সংসদ আছে যেখানে জনগণের সমস্যা সমাধানের কোনো আলোচনা করা হয় না। যে সংসদে বিরোধী দল আছে যাকে সবাই বলে গৃহপালিত বিরোধী দল। তারা জলসা পার্টির দর্শক হয়ে শুধু হাতে তালি দেন। বিএনপি এই আ’লীগ সরকারের দূঃশাসনক পরাজিত করে একটি শান্তিময় দেশ গঠন করতে চায়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের পদ-পদবীর জন্য নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য, গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, মা-বোনদের সম্মানের জন্যে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার ব্যবস্থা করতে হবে। কারন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলছে তারা।

মিজানুর রহমান মিনু বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের তল্লাশি প্রতিবাদে সারাদেশের মানুষ মুখর হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশি ও হামলা সরকারের নির্দেশেই হয়েছে। যে কারণে সরকারের নির্দেশেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি।আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাংক লুট করে খাচ্ছে, শেয়ার মার্কেট লুট করেছে। সমন্ত উন্নয়নের কথা বলে উন্নয়নের প্রকল্পে টাকা লুট করে নিচ্ছে। উন্নয়নের নামে শুধু সংখ্যার জালিয়াতি ছাড়া আর কিছুই করছেনা তারা। দেশে আজ বিদ্যুৎ নেই, বাড়ছে শুধু দাম। সাধারণ মানুষের হা-হা কার উঠে গেছে। এই অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে। আর এই পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্মেলনে পুনরায় আসাদুল হাবিব দুলু সভাপতি ও হাফিজুর রহমান বাবলাকে সাধারন সম্পাদক ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ