এডিবির ‘রেলসেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের’ আওতায় প্রথম প্রস্তাবিত হয় বগুড়া- সিরাজগঞ্জ লিংকটি, যেখানে একে ঢাকা-বুড়িমারী রেল-করিডরের মিসিং লিংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বর্তমানে ভারত সরকারের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত হয়েছে প্রকল্পে। ফলে এখন আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে এই প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে রেল বিভাগের তিনটি প্রকল্প ছিল। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়া থেকে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন পযর্ন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন স্থাপন (৫০ কোটি ডলার), ঈশ্বরদী রেললাইনের উন্নয়ন (৩.৫ কোটি ডলার), ফেনী হতে বিলোনিয়া রেললাইনের সংযোগ স্থাপন (১০ কোটি ডলার) ও দুই দেশের নদী পথের বাণিজ্য বাড়াতে নদীবন্দরগুলোর উন্নয়ন (অর্থের পরিমাণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে)।
এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেললিংক। বগুড়া থেকে শহীদ এম মনসুর আলী পর্যন্ত ভায়া ঈশ্বরদী বাইপাস রেলপথে দূরত্ব বিদ্যমান রয়েছে ১৮৭.০২ কিলোমিটার। এদের মাঝে সরাসরি রেললাইন তৈরি হলে দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৭৪.৫১ কিলোমিটার। এককথায়, ঢাকা-রংপুর-লালমনিরহাট পথে (ভায়া বগুড়া-কাউনিয়া) দূরত্ব কমে যাবে ১১২.৫১ কিলোমিটার।
ঢাকা-দিনাজপুর রুটে ঈশ্বরদী বাইপাস হয়ে বর্তমান দূরত্ব ৪০৫.২৪ কিলোমিটার। কিন্তু এই নতুন লাইন ব্যবহার করে গেলে, ভায়া বগুড়া-সান্তাহার হয়ে এরুটে দূরত্ব হবে ৩৭২.৫৯ কিলোমিটার (৩২.৬৫ কিলোমিটার কম), এবং ভায়া বগুড়া-কাউনিয়া হয়ে এ রুটে দূরত্ব দাঁড়াবে ৪০৩.১৭ কিলোমিটার (২.০৭ কিলোমিটার কম)। এই রুট তৈরি হলে রংপুরবাসীকে ট্রেনে ১১২.৫১ কম জার্নি করতে হবে। রংপুর ও বগুড়া থেকে ঢাকার ট্রেন জার্নি হবে সহজতর। একই সাথে লাভবান হবে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটের মানুষরা।
0 মন্তব্যসমূহ