Header Ads Widget

লালমনিরহাটে ফের বন্যা। ত্রিশ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি।।



ষ্টাফ রিপোর্টার : প্রবল বর্ষণ আর উজানের  পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান সিংঙ্গীমারী নদীর পানিও বিপদসীমার অনেক উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলা দুটি পৌরসভা সহ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার ৪৫ টি ইউনিয়নের প্রায় লাক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানি লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশাপাশি দহগ্রাম সড়কের কয়েক ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে ৫২দশমিক ৬৫ সেঃমিঃ তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। যা স্বাভাবিকের (৫২দশমিক ৪০) চেয়ে ২৫ সেন্টিমিটার উপরে। ব্যারাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিশ্চত করেছেন।
পানিবন্ধী এলাকা গুলোতে শুকনা খাবার বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশু-পাখি নিরাপদে রাখার জায়গা নিয়েও বিপাকে পড়েছেন সাধারন লোকজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ উজানের ঢলে তিস্তা ধরলা নদীর তীরবর্তি এলাকায় ফের বন্যা দেখা দিয়েছে   নদীর পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতের পানিতে ডুবে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এরই মধ্যে পাটগ্রামের পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডসহ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি দহগ্রাম, বাউড়া, হাতীবান্ধার সানিয়াজান,ফকিরপাড়া গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, সিঙ্গীমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের ভোটমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, দুর্গাপুর, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর, মোঘলহাট কুলাঘাট খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নদী বিধৌত এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এতে করে গোটা জেলায় লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। এসব মানুষজন তাদের গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন লোকজন। পানি নিচে ডুবে গেছে সদ্য রোপন করা কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষেত, বিনষ্ট হয়েছে সবজি মরিচ ক্ষেত। জেলার বন্যর পানিতে প্রায় অর্ধ কোটির টাকার মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে হয়েছে। এসব পরিবারের মাঝে তাৎক্ষনিকভাবে ১৫ মেঃ টন জিআর চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ চেয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পাটগ্রামের ইউএনও নূর-কুতুবুল আলম বলেন, প্রায় ৩০-৪০ হাজার হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের পাশাপাশি পাকা সড়কেরও কয়েকটি জায়গার উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার বিকেল থেকে পানিবন্দী মানুষজনের মাঝে ত্রাণের চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার সুজা উদ দৌলা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক বর্নত্যদের খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। ত্রাণ হিসেবে জেলায় ২০২ মেঃ টন জিআর চাল সাড়ে লাখ টাকা মজুদ আছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্ধ নেয়া হবে বলে জানা তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক সফিউল আরিফ বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বন্যা কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি চলছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ